এক পর্যায়ে সম্পর্ক গড়ায় পরকীয়া প্রেমে। মান্না বিবাহিত।রায়হান নামে এক প্রতিবেশী জানান, গত চার মাস আগে মান্না ও শিশুটির মা স্বামী-স্ত্রীর পরিচয়ে ওই ফ্ল্যাট ভাড়া নেন। একই বাড়ির আরেক ফ্ল্যাটে স্ত্রী ও শাশুড়িকে নিয়ে রায়হানও থাকেন। ফলে শিশুর মায়ের সঙ্গে তার স্ত্রী ও শাশুড়ির ভালো সম্পর্ক ছিল। শিশুটিকে তার স্ত্রী ও শাশুড়ি অনেক আদর করতেন। আদরের জন্য শিশুটি প্রতিদিনই তাদের ফ্ল্যাটে যেত।রায়হান জানান, গত শনিবার দিনভর শিশুটি তার স্ত্রী-শাশুড়ির কাছে যায়নি। গতকাল রবিবার সন্ধ্যার দিকে সুযোগ পেয়ে শিশুটি তার শাশুড়ির কাছে গিয়ে কাঁদছিল। কান্নার কারণ জানতে চাইলে হাতে, গলায়, পিঠে ক্ষত দেখায় সে। ঘটনা জেনে তার শাশুড়ি পুলিশকে ফোন করেন।শ্রীপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) শামীম আক্তার বলেন, ‘পুলিশ তাৎক্ষণিক সেখানে পৌঁছে শিশুটিকে উদ্ধারসহ তার মাকে আটক করেন। পরে অভিযান চালিয়ে শামসুজ্জামান মান্নাকে আটক করা হয়। শিশুসহ তার মা ও মায়ের পরকীয়া প্রেমিককে রবিবার রাত ১১টার দিকে ভ্রাম্যমাণ আদালতে হাজির করা হয়।’
পরিদর্শক শামীম আক্তার জানান, গত শুক্রবার সন্ধ্যার দিকে চাকু গরম করে শিশুটির হাতে, গলায় ও পিঠে ছেঁকা দেন মান্না। এর আগেও খুন্তি গরম করে শিশুটির শরীরে ছেঁকা দেওয়া হয়েছিল। পরকীয়া প্রেমিক নিজের শিশুকে নির্দয় নির্যাতন করলেও তা চেপে যেতেন শিশুর মা।
ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিজ্ঞ বিচারক ও উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) আতাহার শাকিল কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘শামসুজ্জামান মান্নাকে ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। পুরোপুরি সুস্থ না হওয়া পর্যন্ত শিশুটির চিকিৎসা চালিয়ে যাওয়ার আদেশসহ শিশুটির মাকে দুজনের জিম্মায় দেওয়া হয়েছে।’
Leave a Reply