1. admin@dainikvorersangbad.com : sangbad :
বৃহস্পতিবার, ০৮ মে ২০২৫, ০৪:০৭ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
সাংবাদিক নির্যাতন হামলা মামলাসহ দাবি আদায়ে কলম বিরতির ঘোষণা- বিএমএসএফ শরীয়তপুরে জিয়া পরিবারের সুস্বাস্থ্য কামনায় দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত এএসপি পলাশ সাহার আত্মহত্যার কারণ জানিয়েছেন তার মেজো ভাই নন্দলাল সাহা। নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলা বিএনপির উদ্যোগে বর্ণাঢ্য কার্যনির্বাহী সভা অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ থেকে আরো জনবল নিতে চায় বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবাকে ‘মৌলিক অধিকার’ হিসেবে অন্তর্ভুক্তসহ ৩২টি সুপারিশসংবলিত প্রতিবেদন জমা শরীয়তপুর জেলা গণ অধিকার পরিষদের সভাপতি ডা. সাজু, সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. খবির শরীয়তপুরের জাজিরায় প্রধান শিক্ষক ১০ম গ্রেডে গেজেটেড পদমর্যাদার রায় প্রাপ্তিতে সংবর্ধনা বেলকুচিতে জিয়া সাংস্কৃতিক সংগঠন (জিসাস) এর আহবায়ক কমিটির অনুমোদন শরীয়তপুর জেলা দলিল লেখক সমিতির সভাপতি নুরুল হক, সাধারণ সম্পাদক বিএম মকবুল

সাবেক মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রীই ছিলেন ‘ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা’।

  • প্রকাশিত : বুধবার, ৩০ এপ্রিল, ২০২৫
  • ৩০ বার পাঠ করা হয়েছে
৫ই আগষ্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত হয় শেখ হাসিনার সরকার। ওই সরকারের মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী ছিলেন আ ক ম মোজাম্মেল হক। মুক্তিযোদ্ধার তালিকা বৃদ্ধি, যুদ্ধাপরাধীদের তালিকা প্রকাশ না করাসহ বিভিন্ন বিষয়ে বিতর্কিত ছিলেন তিনি। তবে এবার জানা গেল সাবেক মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রীই ছিলেন ‘ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা’।

মোজাম্মেল হকসহ বিগত সরকারের সাত মন্ত্রীর বিরুদ্ধে ‘ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা’র অভিযোগ তদন্ত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এই তালিকায় আওয়ামী লীগের দুই সংসদ সদস্য, একজন বিচারপতি, সাবেক সচিব, আইজিপি, সেনা কর্মকর্তাসহ আরো ১৫ জন বিশিষ্ট ব্যক্তির মুক্তিযোদ্ধার তথ্য-উপাত্ত যাচাই-বাছাই শুরু করেছে তথ্য যাচাই-বাছাইকারী প্রতিষ্ঠান জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল (জামুকা)। অভিযোগ প্রমাণিত হলে এসব প্রভাবশালী ব্যক্তির মুক্তিযোদ্ধার সনদ ও গেজেট বাতিল হবে।

গত ১৩ এপ্রিল জামুকার চেয়ারম্যান ও মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক উপদেষ্টা ফারুক-ই-আজমের সভাপতিত্বে জামুকার ৯৫তম সভা হয়।

ওই সভা সূত্রে জানা গেছে, সাবেক মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হকসহ দেশের বিশিষ্ট ২২ ব্যক্তির মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ নিয়ে বিতর্ক রয়েছে। এই ২২ জনের এসংক্রান্ত তথ্য যাচাই-বাছাই করতে তাদের তথ্য-প্রমাণাদি যেমন—আবেদন, তদন্ত প্রতিবেদন, সভার কার্যবিবরণী, গেজেট ও অন্যান্য প্রামাণিক তথ্য সংগ্রহ করে তদন্ত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক সচিব ইসরাত চৌধুরী কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা শনাক্ত করার ঘোষণা দিয়েছে সরকার। এ জন্য ভুয়া মুক্তিযোদ্ধার তথ্য দিতে মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে নির্দিষ্ট ফরম প্রকাশ করা হয়েছে।

এর বাইরেও গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদ এবং সরাসরি আবেদনেও অনেকে অভিযোগ দিচ্ছেন। জামুকার গত সভায় এসব আবেদন আমলে নিয়ে কয়েকজন সাবেক মন্ত্রীসহ দেশের বিশিষ্ট ২২ জন ব্যক্তির মুক্তিযোদ্ধার সনদ ও গেজেটসংক্রান্ত নথি যাচাই করার সিদ্ধান্ত হয়েছে।’যাদের মুক্তিযোদ্ধার সনদ ও গেজেটসংক্রান্ত নথিপত্র তদন্ত করা হবে, তারা হলেন শেখ হাসিনার সরকারের তিন মেয়াদের মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, সাবেক নৌপরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খান, সাবেক মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম, সাবেক আইনমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আব্দুল মতিন খসরু, সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী কর্নেল (অব.) ফারুক খান ও টিপু মুনশি এবং সাবেক সমাজকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. মোজাম্মেল হোসেন।

জানা গেছে, সাবেক মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক কোথায় প্রশিক্ষণ নিয়েছেন এবং কোথায় যুদ্ধ করেছেন, তা নিয়ে ধোঁয়াশা রয়েছে। এ নিয়ে তিনি নিজেও মুখ খোলেননি।

বিতর্কটি শুরু হয় ১৯৯৬ সালে। তখন আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর মুক্তিযোদ্ধা গেজেট প্রকাশ করে। সেখানে আ ক ম মোজাম্মেল হকের নাম অন্তর্ভুক্ত করা হয়। এ নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা হয় খোদ জাতীয় সংসদেও। ২০২৩ সালে উচ্চ আদালতে রিট পিটিশন করেন জামুকার সদস্য ও জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা ফাউন্ডেশনের মহাসচিব খ ম আমীর আলী। মামলা নম্বর ১৫১৪২। রিট মামলায় তৎকালীন মন্ত্রিপরিষদসচিব, মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব, জামুকার চেয়ারম্যানসহ (সাবেক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক) মোট সাতজনকে আসামি করা হয়।আদালতে মামলার আবেদনপত্র বিশ্লেষণ এবং বিভিন্ন সূত্রে পাওয়া তথ্য অনুসন্ধান করে জানা যায়, ভারতে প্রশিক্ষণ নেওয়া ৫১ হাজার মুক্তিযোদ্ধার তালিকায় নাম নেই আ ক ম মোজাম্মেল হকের। জাতীয় জাদুঘরে রাখা ১৯৮৬ সালে তৈরি লাল মুক্তিবার্তার ভলিউম ঘষামাজা করে তাঁর নাম অন্তর্ভুক্ত করার অভিযোগ রয়েছে।

এ তালিকায় আরো রয়েছেন আওয়ামী লীগের দুই সংসদ সদস্য আমিরুল আলম মিলন ও মীর শওকত আলী বাদশা, সাবেক সচিব খোন্দকার শওকত হোসেন, অতিরিক্ত সচিব তড়িৎ কান্তি রায় ও গোপালগঞ্জের তরুণ কান্তি বালা, সাবেক বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক, সাবেক আইজিপি আবদুর রহিম খান, সাবেক সেনা কর্মকর্তা লে. জেনারেল মোল্লা ফজলে আকবর, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল জাহাঙ্গীর কবির, ক্যাপ্টেন আনারুল ইসলাম (মিরপুর ক্যাম্প), সাবেক কর কমিশনার ও বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটের পরিচালক ড. এস এম জাহাঙ্গীর আলম, স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের শাহ সালাউদ্দিন, ফেনীর শফিকুল বাহার মজুমদার ও সালেহ উদ্দিন চৌধুরী এবং রংপুর আলমনগরের আবদুস সোবহান খান।

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো সংবাদ পড়ুন
কারিগরি সহযোগিতায়: জাগো হোষ্টার বিডি