1. admin@dainikvorersangbad.com : sangbad :
মঙ্গলবার, ১৩ মে ২০২৫, ১১:১৬ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
আওয়ামী যড়যন্ত্রকারীদের কোনো সুযোগ দেয়া যাবে না – আমিনুল হক আইনজীবীদের ধাওয়া, দৌড়ে হাজতে ঢুকলেন মমতাজ রোগী হয়রানি ও দালাল চক্ররোধে শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে অভিযান। দালাল চক্রের অনিয়ম নিয়ে অনুসন্ধানী প্রতিবেদন প্রকাশের পর সাংবাদিক সোহাগ খান সুজনের ওপর হামলা *জাজিরায় উপজেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত ** সাবেক রাষ্ট্রপতির বিদেশ গমন তদন্তে উচ্চপর্যায়ের কমিটি গঠন করেছে সরকার শরীয়তপুর জেলা যুবদলের কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা অবশেষে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। পরিবারের দাবীঃ শাশুড়ির অত্যাচারে এক সময় আত্মহত্যার চেষ্টাও করেন সুস্মিতা সাহা।  নড়িয়া উপজেলা ছাত্রদলের প্রতিবাদ

রোগী হয়রানি ও দালাল চক্ররোধে শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে অভিযান।

  • প্রকাশিত : মঙ্গলবার, ১৩ মে, ২০২৫
  • ২৬ বার পাঠ করা হয়েছে

শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে রোগী হয়রানি ও দালাল চক্রের দৌরাত্ম্য রোধে যৌথ অভিযান চালিয়েছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ ও পালং মডেল থানা–পুলিশ।

পালং মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হেলাল উদ্দিন ও জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের পরিদর্শক মোহাম্মদ আবু বক্করের নেতৃত্বে আজ মঙ্গলবার (১৩ মে) বেলা ১১টার দিকে এই অভিযান চালানো হয়।

 

অভিযানে হাসপাতাল চত্বর, বহির্বিভাগ ও আশপাশের এলাকায় ঘোরাফেরা করা সন্দেহভাজন লোকজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। নিয়মিত মনিটরিং কার্যক্রমের অংশ হিসেবে পরিচালিত এই অভিযানে দালাল চক্রের তৎপরতা ঠেকাতে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেয় পুলিশ। একই সঙ্গে রোগী ও স্বজনদের নির্ভয়ে চিকিৎসাসেবা নিতে উৎসাহিত করেন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা।

এ বিষয়ে পালং মডেল থানার ওসি হেলাল উদ্দিন দৈনিক ভোরের সংবাদ ”কে বলেন, ‘আমরা অভিযোগ পেয়েছি, দালালেরা বিভিন্ন সময় হাসপাতালে আসা রোগীদের হয়রানি করে। তারা নানা প্রলোভন দেখিয়ে রোগীদের বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যায়। এতে সাধারণ রোগীরা প্রতারিত হচ্ছে। দালালের বিরুদ্ধে আজ আমরা অভিযান চালিয়েছি। আমাদের এই অভিযান অব্যাহত থাকবে।’

পুলিশ ও স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, শরীয়তপুর সদর হাসপাতালকে কেন্দ্র করে একটি শক্তিশালী দালাল সিন্ডিকেট গড়ে উঠেছে। তারা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাসেবা নিতে আসা সহজ-সরল রোগীদের ভুলিয়ে–ভালিয়ে ক্লিনিকে নিয়ে যায় এবং সর্বস্বান্ত করে ছেড়ে দেয়। এই দালালদের পেছনে রয়েছে সদর হাসপাতালকে কেন্দ্র করে গড়ে ওঠা এক ডজনেরও বেশি প্রাইভেট হাসপাতাল ও ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ। হাসপাতালের চিকিৎসকদের সহকারীরাও দালাল সিন্ডিকেটের সঙ্গে জড়িত।’

৮ মে একটি জাতীয় পত্রিকায় এ বিষয়ে একটি অনুসন্ধানী প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। প্রতিবেদনটিতে শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে দালালির চিত্র তুলে ধরা হয়। প্রতিবেদন প্রকাশের পর গত রোববার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে সদর হাসপাতালের সামনে নারী দালালদের দ্বারা হামলার শিকার হন সাংবাদিক সোহাগ খান সুজন।

অভিযোগ রয়েছে, হাসপাতালের কতিপয় চিকিৎসক ও তাঁদের সহকারীরা দালাল সিন্ডিকেটের সঙ্গে জড়িত। পছন্দের ক্লিনিকে পরীক্ষা না করালে চিকিৎসকেরা হাসপাতালে চিকিৎসা দেন না। এই সিন্ডিকেটের কাছে জিম্মি হয়ে পড়ছেন চিকিৎসা নিতে আসা সাধারণ রোগীরা।

জেলা পুলিশ সুপার নজরুল ইসলামের নির্দেশে দালালদের বিরুদ্ধে আজ শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে অভিযান চালায় পুলিশ।

এ বিষয়ে পুলিশ সুপার মো. নজরুল ইসলাম দৈনিক ভোরের সংবাদ”কে বলেন, ‘সদর হাসপাতালে দালালদের লিস্ট পেয়েছি। দলালেরা হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীদের হয়রানি করে। অনেক দালাল রোগীদের সঙ্গে খারাপ আচরণ করে। এখন থেকে দালালদের বিরুদ্ধে নিয়মিত অভিযান চলবে।’

এ বিষয়ে সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক মো. হাবিবুর রহমান দৈনিক  ভোরের সংবাদকে বলেন, ‘সদর হাসপাতালের আশপাশের প্রাইভেট হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের কিছু চিহ্নিত লোকজনকে প্রতিনিয়ত সদর হাসপাতালে ঘোরাফেরা করতে দেখা যায়। তাদের কারণে হাসপাতালের স্বাভাবিক কার্যক্রম বিঘ্নিত হয়। আমরা চেষ্টা করেও দালালদের দৌরাত্ম্য ঠেকাতে পারছি না। তাই আমরা চিহ্নিত দালালের লিস্ট থানায় জমা দিয়েছি। পুলিশ আজ হাসপাতালে অভিযান চালিয়েছে। পুলিশ ও প্রশাসন সহযোগিতা করলে আমরা দালাল নির্মূল করতে পারব।’

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো সংবাদ পড়ুন
কারিগরি সহযোগিতায়: জাগো হোষ্টার বিডি